টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি | ছাদে-বারান্দায় ক্যাপসিকাম চাষ

আকর্ষণীয় রং ও আকারের জন্য বর্তমানে ক্যাপসিকাম শহুরে বাগানীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্যাপসিকাম আমাদের পরিচিত মরিচের একটি জাতভাই যার কারণে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি অনেকটাই মরিচের মতো । সাধারণত কম ঝালের ও বড় আকৃতির মরিচ কে ক্যাপসিকাম (Bell Pepper) বলা হয় , বাংলায় যাকে মিষ্টি মরিচ বলা হয়।

সূচিপত্র – 

  • ক্যাপসিকাম এর প্রকার 
  • ক্যাপসিকাম চাষ এর সময়
  • ক্যাপসিকামের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ(রোদ-আলো)
  • চারা তৈরি পদ্ধতি 
  • উপযুক্ত টব/পাত্র নির্বাচন 
  • মাটি প্রস্তুত প্রণালী 
  • গাছ রোপণ পরবর্তী সার ব্যবস্থাপনা
  • কাঁচা(সবুজ) ক্যাপসিকাম সংগ্রহ ও  কালারফুল ক্যাপসিকাম উৎপাদন
  • ক্যাপসিকামের রোগ-বালাই ও সমাধান 

ক্যাপসিকাম এর প্রকার : 

আকার, রং ও ঝালের উপর ভিত্তি করে ক্যাপসিকাম কে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায়।‌ ক্যাপসিকাম লাল, হলুদ,কমলা,বেগুনি,সাদা ইত্যাদি রং এর হয়ে থাকে ‌। তবে, সকল ক্যাপসিকাম প্রথম অবস্থায় সবুজ থাকে তারপর পরিপক্ক বা পাকলে নির্দিষ্ট রং ধারণ করে।

লম্বাকৃতির যেমন –

  • Jalapeno Pepper ( হ্যালাপিনো ) 
  • Sweet Banana Pepper (বানানা)
  • Anaheim Pepper (এনাহেইম ) 

এই জাত গুলো লম্বা ও মোটা হয়ে থাকে। গোল গুলোর চেয়ে মিষ্টিভাব কিছু টা কম তবে, ফ্লেভার বেশি । সুস্বাদু পাকোড়া তৈরি করার জন্য এই তিনটি জাত সবচেয়ে উপযোগী। 

গোলাকৃতির বিভিন্ন জাত রয়েছে। এর মধ্যে বড় আকৃতির যেমন রয়েছে তেমনি অনেক ছোট আকৃতির রয়েছে যা মিনি বেল পেপার নামে পরিচিত।আবার কিছু জাত অনেকটা টমেটোর মতো গোল আবার কিছু রয়েছে যা লম্বালম্বি গোল । 

ক্যাপসিকাম চাষের সময় : 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সারা বছর ক্যাপসিকাম চাষ করা যায় বলে দাবি করেন । তবে, ক্যাপসিকাম আমাদের দেশের নতুন একটি সবজি, এটার এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নত জাত তৈরি হয় নি। তাই, বিদেশ থেকে বিভিন্ন জাতের বীজ আমদানি করা হয় , যার বেশিরভাগ শীতকালীন চাষযোগ্য জাত । এসব জাত অধিক তাপ সহ্য ( heat tolerant) করতে পারে না। তাই, heat tolerant জাত না হলে শীত ব্যতিত অন্য সময় ক্যাপসিকাম চাষ করবেন না। 

 শীতকালীন চাষের জন্য সেপ্টেম্বর এর শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবর মাস উপযুক্ত সময় বীজ বপন এর । তবে, নভেম্বর মাস পর্যন্ত চারা করা যাবে । 

আপনার সংগ্রহকৃত ক্যাপসিকাম বীজ heat tolerant জাত হয়ে থাকলে তা গ্রীষ্মকালীন চাষ করতে পারেন । এক্ষেত্রে ফ্রেব্রুয়ারি – মার্চ মাস চারা তৈরির উপযুক্ত সময় । 

এখানে উল্লেখ্য যে, ক্যাপসিকাম জলাবদ্ধতা একদম সহ্য করতে পারে না । তাই, আমার মতামত হলো – শীত ব্যতিত অন্য সময় ক্যাপসিকাম চাষ করবেন না। 

ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ (রোদ-আলো): 

ক্যাপসিকাম রোদ-আলো পূর্ণ জায়গায় ভালো হয়।  

মিনিমাম ৬ ঘন্টা রোদ পায় এমন জায়গায় ক্যাপসিকাম চাষ করতে হবে । 

আর সবোর্চ্চ ফলন পেতে পূর্ণ দিন রোদ পায় এমন জায়গায় রাখতে হবে । তবে, গ্রীষ্মকালীন চাষের সময় দুপুর এর কড়া রোদ থেকে গাছকে দূরে রাখতে হবে। 

ক্যাপসিকাম এর চারা তৈরির সহজ উপায়: 

টবে ক্যাপসিকাম চাষ করার জন্য প্রথমে আলাদা করে চারা তৈরি করে নিতে হবে অথবা চারা নার্সারি থেকে সংগ্রহ করতে হবে। চারা আলাদা করে টবে, সিডলিং ট্রে,  সিডলিং ব্যাগ, ওয়ান টাইম গ্লাসে তৈরি করে নিতে হবে । 

বীজ মূল টবে বপন করে চারা তৈরি না করে আলাদা করে অন্য টবে চারা করে নিয়ে পরে মূল টবে রোপণ করলে গাছের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

চারা করতে- 

১. বীজ প্রথমে টিস্যু পেপার এর মাধ্যমে জার্মিনেট করে নিতে হবে । 

২. জার্মিনেট করা বীজ সিডলিং ট্রে বা সিডলিং ব্যাগে দিতে হবে । 

৩. ২-৩ দিন এর মধ্যে চারা বের হবে। চারার বয়স যখন ৩০-৩৫ দিন হবে তখন মূল টবে রোপণ করতে হবে । তখন সাধারণত চারায় ৪-৫ টি পাতা থাকে । 

উপযুক্ত টব/পাত্র নির্বাচন:  

ক্যাপসিকাম চাষ এর জন্য উপযুক্ত টব হলো ১০-১২ ইঞ্চি টব বা ৭-১০ লিটার বালতির সমান আয়তনের পাত্র বা গ্রো ব্যাগ । এর চেয়ে ছোট পাত্রেও হবে যেমন – পাঁচ লিটার এর বোতল বা এর সম আয়তনের পাত্র । তবে টব ৫ লিটার এর চেয়ে ছোট নির্বাচন করা যাবে না ক্যাপসিকাম চাষ এর জন্য । একটা জিনিস, টব যতো ছোট হবে গাছের বৃদ্ধি ততো কম, ফলন ততো কম হবে । গাছ কিছু ফলন দিয়ে ঝিমিয়ে পরবে, সহজে রোগাক্রান্ত হবে । অর্থাৎ, সহজ কথায় আপনি যেমন input ( খাদ্য/মাটি ) দিবেন, গাছও তেমন output (ফলন) দিবে ।

মাটি প্রস্তুত প্রণালী : 

(Note: ১ টেবিল চামচ= ১০-১২ গ্রাম ; ১ চা চামচ= ৪ গ্রাম ; ১ টেবিল চামচ= ৩ চা চামচ ; ১ লিটার মাটি = ১.৫ কেজি) 

ক্যাপসিকাম যেহেতু একটি ফলদ্বায়ী সবজি (fruiting vegetables) তাই এর প্রচুর খাদ্যের প্রয়োজন পরে । এজন্য মাটি তৈরিতে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি উপাদান দিতে হবে । 

টবের জন্য মাটি তৈরিতে – 

১. দোআঁশ মাটি ৫০% , গোবর পঁচা ৩০% আর ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করলে দোআঁশ মাটি ৬০% , ভার্মি কম্পোস্ট ২০% আর বাকি ২০% এর জন্য কোকোপিট ১০% আর নদীর লাল বালু ১০% হারে মেশাতে হবে । 

২. রাসায়নিক সার- মাটি তৈরির সময় প্রত্যেক ৫ লিটার পাত্রের সমান মাটিতে ১ চা চামচ টিএসপি (TSP) বা ডিএপি (DAP) সার + হাফ চা চামচ এমওপি (MOP) সার মেশাতে হবে । আপনি যদি সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে চাষ করতে চান তাহলে রাসায়নিক সার ব্যবহারের দরকার নেই । এতে যদিও ফলন কম হবে। 

৩. এভাবে মাটি প্রস্তুত করে ১০-১৫ দিন রেখে দিতে হবে ‌। তারপর গাছ রোপণ করতে হবে।

গাছ রোপণ পরবর্তী সার ব্যবস্থাপনা: 

গাছ রোপণ করার পর আরও দুই বার সার প্রয়োগের প্রয়োজন পরে। এতে ক্যাপসিকাম চাষে সবোর্চ্চ ফলন নিশ্চিত হয় ( পরীক্ষিত) । 

১. চারা রোপণ এর ২৫-২৮ দিন পর ৫ লিটার আয়তনের টবের সমপরিমাণ মাটির জন্য হাফ চা চামচ ইউরিয়া সার এবং হাফ চা চামচ পটাস সার (MOP) মাটিতে ছিটিয়ে দিয়ে নিড়ানি দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের পরের দিন পানি সেচ দিতে হবে। 

২. একই পরিমাণ ইউরিয়া ও পটাস সার পুনরায় চারা রোপণ এর ৫০-৫৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।

এই দুই বারের পর আর রাসায়নিক সার প্রয়োগ এর প্রয়োজন পরে না। এতেই সবোর্চ্চ ফলন নিশ্চিত হয় । 

এর পরে যদি গাছে কোন উপাদানের অভাব জনিত লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সে অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। 

জৈব সার – 

চারা রোপণ এর পর প্রতি ১৫ দিন পর পর ৫ লিটার বোতল বা সমপরিমাণ টবের মাটির জন্য এক মুঠো করে ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। টবের উপরের মাটি আলগা করে জৈব সার মাটিতে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে । 

তবে ৫০-৫৫ দিন পর্যন্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগ এর সময়কালে জৈব সার প্রয়োগ না করে পরবর্তীতে চারা রোপণ এর ৬০ দিন পর থেকে জৈব সার ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর ব্যবহার করলে ভালো হয়। 

আর যদি, সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে ক্যাপসিকাম চাষ করতে চান তাহলে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে শুরু থেকেই জৈব সার প্রয়োগ করে যেতে হবে । 

কাঁচা(সবুজ) ক্যাপসিকাম সংগ্রহ ও  কালারফুল ক্যাপসিকাম উৎপাদন: 

চারা রোপণ এর ৩৫-৪০ দিন পর থেকে ফুল/কলি আসা শুরু হয় এবং ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে ক্যাপসিকাম ধরা শুরু হয় । 

অনেকে একটা জিনিস জানেন না যে, সকল জাতের ক্যাপসিকাম শুরুতে সবুজ রং এর হয়ে থাকে। পরবর্তীতে পরিপক্ক বা পাকলে ক্যাপসিকাম নির্দিষ্ট রং ধারণ করে – লাল, হলুদ, কমলা, বেগুনি ইত্যাদি । 

অর্থাৎ, আপনার চাহিদা মতো সবুজ ক্যাপসিকাম উত্তোলন করতে পারেন বা কালার হলে পরে হার্ভেস্ট করতে পারেন। গাছে কালারফুল ক্যাপসিকাম থাকলে দারুন দেখায় এবং কালারফুল ক্যাপসিকাম এর দামও চড়া হয়ে থাকে। 

তবে গাছে ক্যাপসিকাম পাকতে শুরু করলে অর্থাৎ কালার আসতে শুরু করলে নতুন করে আর তেমন ফুল আসে না , গাছও অনেক টা ঝিমিয়ে পরে । 

ক্যাপসিকাম এর রোগ-বালাই : 

ক্যাপসিকাম সহ অন্যান্য সকল শাক-সবজি অল্প করে ছাদে/টবে চাষ করলে পোকা-মাকড় এর উৎপাত ব্যাপক হারে চোখে পরে । মরিচ গাছে  সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পাতা কুঁকড়ানো সমস্যা , তবে ক্যাপসিকাম এর ক্ষেত্রে এই পাতা কুঁকড়ানো সমস্যা কম পরিলক্ষিত হয় । 

এখানে কিছু প্রধান রোগ/সমস্যা ও তার সমাধান উল্লেখ করা হয়েছে ‌। এর বাইরে অন্য কোন সমস্যা আপনার গাছে পরিলক্ষিত হলে কমেন্ট করে জানাবেন, সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব ‌। 

১. গাছের পাতা কুঁকড়ানো সমস্যা: 

পাতা কুঁকড়ানো সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমন – মাকড় বা মাইট, থ্রিপস বা চুষি পোকা, এফিড বা জাব পোকা, সাদা মাছি, ভাইরাস ইত্যাদির আক্রমণে ক্যাপসিকামে পাতা কুঁকড়ানো সমস্যা দেখা দেয়

২. জেমিনিভাইরাস রোগ: 

এই রোগে কচি পাতায় ঢেউয়ের মতো ভাঁজ সৃষ্টি হয় । মূলত সাদা মাছি দ্বারা এই ভাইরাস ছড়ায় । তাই, সময়মতো সাদা মাছি দমন করতে হবে। সাদা মাছি দমন প্রক্রিয়া -” মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ানো রোগ নিরাময় ” পোস্টে দেওয়া আছে। 

৩. মিলিবাগ এর আক্রমণ : 

ক্যাপসিকাম গাছে মিলিবাগ এর আক্রমণ হয়ে থাকে। মিলিবাগ গাছ থেকে রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পরে, ফলন কমে যায় । 

মিলিবাগ দমন এর বিস্তারিত ও সহজ পদ্ধতি গুলো এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ‌  জেনে নিন মিলিবাগ দমন এর কার্যকরী উপায় গুলো 

৪. ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ: 

এই পোকা পট বোরার নামে পরিচিত। যা ক্যাপসিকাম এর ফল , কচি ডগা ছিদ্র করে খায় এবং ফুলের কুঁড়ি ও খেয়ে ফেলে। তবে , পট বোরার এর আক্রমণ তেমন পরিলক্ষিত হয় না অন্যান্য মরিচ এর মতো (নিজ পর্যবেক্ষণ) । 

জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ : নিম তেল বা অনুমোদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করলে এই পোকা দমন হয় । তবে আক্রমণ প্রকট হলে জৈব কীটনাশক এ কাজ নাও হতে পারে । 

রাসায়নিক কীটনাশক: সাইপারমেথ্রিন বা এমামেকটিন বেনজোয়েট জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করলে পট বোরার সম্পূর্ণ দমন হয় । 

৫. ছত্রাকজনিত নানা সমস্যা: 

ক্যাপসিকাম চাষ করতে গেলে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এদের মধ্যে কিছু সমস্যা মারাত্মক যার কারণে গাছ মারাও যেতে পারে । এখানে কিছু সমস্যা ও সমাধান বর্ণনা করা হলো – 

৫.১ ঢলে পড়া ও ব্যাকটেরিয়া জনিত নেতিয়ে পড়া রোগ: 

ঢলে পড়া-   এটি ছত্রাকজনিত একটি মারাত্মক রোগ যার কারণে গাছ ঢলে পড়ে ধীরে ধীরে গাছ মারা যায় । প্রথমে পাতা হলুদ হয়ে, শুকিয়ে যেতে থাকে ‌‌। 

এর জন্য আক্রমণ হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। গাছ ঢলে পড়লে সেই গাছ আর বাঁচানো সম্ভব হয় না তবে আক্রমণ এর প্রথম পর্যারে ছত্রাকনাশক (কার্বন্ডাজিম+ম্যানকোজেব)  স্প্রে করলে কাজ হতে পারে ।  

ব্যাকটেরিয়া জনিত নেতিয়ে পড়া – 

এই রোগে গাছের পাতা সবুজ থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে গাছ শুকিয়ে যায়, টবের মাটিতে ভিজা থাকা সত্ত্বেও গাছ নেতিয়ে যায় । এক সময় গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায় । 

 এর জন্য আক্রমণ হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। গাছ ঢলে পড়লে সেই গাছ আর বাঁচানো সম্ভব হয় না তবে আক্রমণ এর প্রথম পর্যারে ছত্রাকনাশক (কার্বন্ডাজিম+ম্যানকোজেব) স্প্রে করলে কাজ হতে পারে ।  

এই দুই রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা – 

  • আক্রান্ত গাছ বাগান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে
  • চারা রোপণ এর আগে শোধন করে নিতে হবে । শোধন করতে এক লিটার পানিতে ১ চা চামচ (কার্বন্ডাজিম) জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে সেই পানিতে চারার গোড়া ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে । 
  • চারা রোপণ এর ৩০-৩৫ দিন পর (কার্বন্ডাজিম+ম্যানকোজেব) জাতীয় ছত্রাকনাশক ভালো করে গাছে স্প্রে করে দিতে হবে । এক লিটার পানিতে এক চা চামচ ছত্রাকনাশক পাউডার মেশাতে হবে । 

৫.২ ক্যাপসিকাম এর এনথ্রাকনোজ,আগা মরা ও কান্ড পঁচা রোগ : 

এনথ্রাকনোজ –  এ রোগে আক্রান্ত কান্ড,পাতা ও ফলে বাদামি কালো দাগ দেখা যায় । আস্তে আস্তে দাগ গুলো বড় হতে থাকে এবং ক্যাপসিকাম পচেঁ যায়। 

আগা মরা রোগ – এ রোগে প্রথমে গাছের আগা মরতে শুরু করে পরে তা কান্ড, প্রধান কান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হতে থাকে এবং গাছ মারে যায়। 

এই দুই সমস্যার জন্য (ডাইফেনোকোনাজল+প্রোপিকোনাজল) বা‌ শুধু প্রোপিকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে । ১২-১৫ দিন পর পর দুই বার স্প্রে করতে হবে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার করে মেশাতে হবে । 

কান্ড পঁচা রোগ- কান্ড ও পত্র বৃন্তে কালো কালো দাগ দেখা যায়, দাগ গুলো আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং একসময় কান্ড পচে যায় । 

এর জন্য কার্বন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক ১২-১৫ দিন পর পর দুই বার স্প্রে করে দিতে হবে । 

৬. ফুল ঝরে পড়া : 

বোরন সার এর অভাব হলে প্রচুর ফুল ঝরে পরতে থাকে । 

এর জন্য সলুবোর সার প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে একবার বা দুইবার পাতায় স্প্রে করতে হবে ২০-২৫ দিন পর পর । 

আরও পড়ুন  টবে মরিচ চাষ | ছাদে-বারান্দায় মরিচ চাষের পদ্ধতি 

Leave a Reply