ছত্রাকনাশক পরিচিতি ও রোগ অনুযায়ী সঠিক ব্যবহার

ছত্রাকনাশক একটি বহুল ব্যবহৃত কীটনাশক জাতীয় পণ্য। নানান রকম এর ব্যবহার রয়েছে যেমন- ছত্রাকজনিত রোগ দমনে, বীজ ও মাটি শোধনে, দাগবিহীন‌ সুন্দর রং এর ফল উৎপাদনে ইত্যাদি। তবে, বর্তমানে ছত্রাক জনিত যেকোন সমস্যায় একই ধরণের ছত্রাকনাশক ব্যবহারের প্রচলন দেখা যাচ্ছে যা পরবর্তীতে আপনার গাছের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, আপনার গাছে রোগ/সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা উচিত ।  

বি:দ্র: নিম্নে আলোচনায় ছত্রাকনাশক গুলোর কোম্পানি প্রদত্ত বিভিন্ন নাম (ম্যানসার,সাফ,ব্যবিস্টিন ,ইত্যাদি) ব্যবহার না করে, মূল রাসায়নিক উপাদান উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা বাজার থেকে কেনার সময় রাসায়নিক এর নাম গুলো মিলিয়ে নিবেন । একই ধরনের ছত্রাকনাশক একেক কোম্পানি একেক নামে বাজারজাত করলেও তাদের রাসায়নিক উপাদান একই থাকে । )

সূচিপত্র – 

  • ছত্রাকনাশক কি 
  • ছত্রাকনাশক এর প্রকারভেদ
  • স্পর্শ ক্রিয়া সম্পন্ন ছত্রাকনাশক(contact fungicide) 
  • কিছু contact fungicide ও সঠিক ব্যবহার

       1. ম্যানকোজেব 

       2. কপার অক্সিক্লোরাইড

       3. সালফার ৮০%

  • অর্ন্তবাহি প্রবাহমান ছত্রাকনাশক(systemic fungicide)
  • কিছু systemic fungicide ও সঠিক ব্যবহার 

      1. কার্বন্ডাজিম

      2. হেক্সাকোনাজল

  • Contact+systemic fungicide এর মিশ্রণ

      1. কার্বন্ডাজিম+ম্যানকোজেব(ম্যানসার ,                          saaf powder) 

      2. মেটালেক্সিল +ম্যানকোজেব 

  • কিছু বিশেষ ধরনের ছত্রাকনাশক

      1. স্ট্রেপটোমাইসিন সালফেট ৭২%

      2. ডাইফেনোকোনাজল+প্রোপিকোনাজল

      3. টেবুকোনাজল+টাইফক্সিস্ট্রবিন

      4. পাইরাক্লোস্ট্রোবিন+মেটিরাম

  • ছত্রাকজনিত যেকোন সমস্যায় একই ছত্রাকনাশক কেনো বারে বারে ব্যবহার করা যাবে না
  • কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

ছত্রাকনাশক কি :   

এটি একটি রাসায়নিক উপাদান যা পরজিবী ছত্রাক, এদের স্পোর,মোল্ড , এছাড়াও কিছু নেমাটোড, ব্যাকটেরিয়া এসব দমনে , কার্যকারিতা হ্রাস করতে এবং পরবর্তীতে যেনো আক্রমণ করতে না পারে এমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে । 

অর্থাৎ, এটি অনেকটা কীটনাশক এর মতো বিষ জাতীয় পদার্থ, পার্থক্য এই যে, কীটনাশক পোকা মাকড় দমন করে আর ছত্রাকনাশক ছত্রাক জাতীয় জীব ধ্বংস করে। 

এটি দানাদার, পাউডার এবং তরল পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত পানির সাথে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করে প্রয়োগ করা হয় ।

প্রকারভেদে:    

প্রধানত দুই ধরনের যা বহুল ব্যবহৃত ও সবার পরিচিত। তা হলো – স্পর্শ জনীত ক্রিয়া বা contact fungicide এবং অন্তর্বাহী-প্রবাহমান ক্রিয়া সম্পন্ন বা systemic fungicide. 

এছাড়াও ট্রান্সলেমিনার অর্থাৎ পাতার এক পাশে প্রয়োগ করলে পাতা দ্বারা শোষিত হয়ে উল্টা পাশে চলে যায় এমন গুণ সম্পন্ন ছত্রাকনাশকও রয়েছে। 

সবার পরিচিত ম্যানসার বা saaf fungicide একটি মিশ্রণ যেখানে, contact+systemic উভয় ধরনের ছত্রাকনাশক থাকে। 

এর বাইরেও কিছু বিশেষ ধরণের ছত্রাকনাশক রয়েছে যা নির্দিষ্ট রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

‌Contact fungicides বা স্পর্শ ক্রিয়া সম্পন্ন ছত্রাকনাশক:   

 এগুলো স্পর্শ ক্রিয়া সম্পন্ন অর্থাৎ ছত্রাক বা স্পোর এর স্পর্শে আসা মাত্রই ধ্বংস হয়ে যায় । এগুলো  গাছে একটি প্রতিরোধ আবরণ সৃষ্টি করে পরবর্তীতে ছত্রাক এর আক্রমণ প্রতিরোধ করে ।‌ এই প্রতিরোধ আবরণ গাছে ৭-১০ দিন বা আবহাওয়া ভালো থাকলে ( বৃষ্টি বা কুয়াশামুক্ত ) ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে । এটি গাছের কান্ড বা পাতার রন্ধ দ্বারা শোষিত হয় না , বাইরের অংশে লেগে থেকে একটি স্তর সৃষ্টি করে । এজন্য এই ছত্রাকনাশক রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধ হিসেবে প্রয়োগ করতে হয় । যেহেতু এটি গাছ দ্বারা শোষিত হয় না তাই, গাছের ভেতরে কোনো ছত্রাকজনিত সমস্যায় এটি কাজ করে না । 

এর আর এক নাম protective fungicide.

কিছু contact fungicide ও সঠিক ব্যবহার: 

একেক কোম্পানি একেক নামে এগুলো বাজারজাত করে। তাই, কোম্পানি নাম দিয়ে সনাক্ত না করে, প্যাকেট বা বোতলের গায়ে লেখা তার রাসায়নিক উপাদান দেখে চিহ্নিত করতে হবে । কোম্পানি পদ্ধত নাম ভিন্ন হলেও রাসায়নিক উপাদান একই থাকবে ।

১. ম্যানকোজেব –    

এটি একটি বহুল ব্যবহৃত contact fungicide. বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন নামে এটি বাজারে পাওয়া যায় । এর উপাদানে ম্যাঙ্গানিজ ও জিংক থাকে যার ফলে গাছে এটি ব্যবহারে ছত্রাক দমনের পাশাপাশি ম্যাঙ্গানিজ ও জিংক এর অভাব পূরণ হয় ।‌ অর্থাৎ একই সাথে দুই কাজ করে । 

আবহাওয়া ভালো থাকলে ১৫ দিন পর্যন্ত ফসল রক্ষা করতে পারে এই ছত্রাকনাশক। 

আলু ও টমেটোর লেট এবং আর্লি ব্লাইট খুব ভালো ভাবে দমন করতে পারে এটি ।‌ এছাড়াও  লিফ স্পট , ডাইনি মিলডিউ,ফলের কালো দাগ , রাস্ট, ফুল -পাতা পচেঁ যাওয়া এসব রোগ দমনেও কাজ করে । মরিচের এনথ্রাকনোজ এ ভালো কাজ করে এটি । 

২. কপার অক্সিক্লোরাইড –  

 এটিও একটি contact fungicide এবং এটিকে ব্যাকটেরিয়ানাশকও বলা হয় । ব্যাকটেরিয়া জনিত ধ্বসা রোগে এটি দারুন কাজ করে । এতে কপার বা তামা থাকে ফলে গাছে তামার অভাব থাকলেও এটা দ্বারা পূরণ হয় । আলু , টমেটোর লেট ও আর্লি ব্লাইট, লেবুর ক্যাঙ্কার , ফল পঁচা, লিফ স্পট, ডাইনি মিলডিউ ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করে। গাছের ডাল-পালা ছাটাই এর পর এটা দিয়ে প্রলেপ দিলে ভালো কাজ করে । 

৩. সালফার ৮০% –   

এটি একই সাথে ছত্রাকনাশক এবং মাকড়নাশক হিসেবে কাজ করে। গাছে লাল, হলুদ মাকড়ের আক্রমণ থাকলে তা এটা দ্বারা প্রতিহত হয় । এছাড়াও এতে সালফার থাকে যা গাছের সালফার এর অভাবও দূর করে । এটি কুমড়ো জাতীয় ফসলের – পাউডারি মিলডিউ ভালো ভাবে দমন করে । লিচু, বেগুন,মরিচ এর লাল মাকড়ও ভালো ভাবে দমন করতে পারে ৮০% সালফার ।

Systemic Fungicides বা অর্ন্তবাহি প্রবাহমান ছত্রাকনাশক: 

এগুলো গাছে প্রয়োগ করলে গাছের রন্ধ দ্বারা শোষিত হয়ে পুরো উদ্ভিদ দেহে ছড়িয়ে পরে। গাছের ভেতরে কোনো ছত্রাকজনিত সমস্যা হলে তা দমন করে ।‌ এর কার্যকারিতা কিছু দিন স্থায়ী হয় এবং গাছকে ছত্রাক এর হাত থেকে রক্ষা করে। গাছের ভেতরে শোষিত হওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্বারা ধূয়ে যাওয়ার চান্স থাকে না । সাধারণত রোগের আক্রমণ দেখা দিলে বা উপসর্গ দেখা দিলে এগুলো প্রয়োগ করা হয়। আবার অকারণে বারে বারে এই ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করলে পরবর্তীতে রোগের সময় এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়।

কিছু systemic fungicide ও সঠিক ব্যবহার:

এখানে রাসায়নিক উপাদানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানি প্রদত্ত নাম একেক কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। 

১. কার্বন্ডাজিম –  

 systemic fungicide এর মধ্যে এটি বহুল ব্যবহৃত হয় । রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োগ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় । বীজ শোধনে এটি ব্যবহার করা হয় । চারা রোপণের সময় চারার গোড়া এটি দিয়ে শোধন করে নিলে গোড়া পঁচা রোগ শতভাগ দমন হয় ।‌ এজন্য ক্যাকটাস-সাকুলেন্ট, এডেনিয়াম গাছ নতুন করে লাগানোর সময় ছত্রাকনাশক পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয় । এতে গাছের গোড়া শোধন হয় ।

এছাড়াও শিম, কুমড়ো,লাউ এর এনথ্রাকনোজ,কান্ড পঁচা,শিকড় পঁচা, পাউডারি মিলডিউ এসব রোগে , মরিচ,আম, পেয়ারা,লিচু,বরই এর এনথ্রাকনোজ, পাউডারি মিলডিউ এসব রোগে , মরিচ, টমেটো, বেগুন, আলুর কান্ডপচা এসকল রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি সবজির পাউডারি মিলডিউ ভালো ভাবে দমন করতে পারে। 

২. হেক্সাকোনাজল –      

এটি একটি systemic অর্থাৎ অর্ন্তবাহি প্রবাহমান এবং প্রতিরোধক গুণ সম্পন্ন ছত্রাকনাশক। এটি আমের এনথ্রাকনোজ, কলার সিগাটোকা , মরিচ,কুমড়া,লাউ জাতীয় ফসলে‌র এনথ্রাকনোজ রোগ দমন করে ।‌

Contact+systemic fungicide এর মিশ্রণ : 

এ ধরনের ছত্রাকনাশক উভয় গুণসম্পন্ন রাসায়নিক উপাদান এর মিশ্রণে তৈরি করা হয়। এতে গাছকে বাইরে থেকে সুরক্ষা প্রদান করে contact fungicide এবং ভেতর থেকে সুরক্ষা প্রদান করে systemic fungicide. অর্থাৎ একই সাথে দুই ধরনের কাজ করে । 

১. কার্বন্ডাজিম+ম্যানকোজেব – 

বাংলাদেশ এবং ভারতে বহুল প্রচলিত saaf powder, ম্যানসার এ কার্বন্ডাজিম+ম্যানকোজেব উভয় উপাদানই থাকে। এজন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ।  

মোটামুটি সকল ধরনের ছত্রাকজনিত সমস্যায় এটার প্রয়োগে ফল পাওয়া যায় । যেমন- আলু-টমেটোর আর্লি ও লেট ব্লাইট , লিফ স্পট, ডাইনি মিলডিউ, পাউডারি মিলডিউ, এনথ্রাকনোজ, কালো দাগ,ফল পঁচা , বেগুনের পাতা পোড়া ইত্যাদি রোগ দমনে কাজ করে এটি । 

২. মেটালেক্সিল +ম্যানকোজেব –    

এটিও এক ধরনের contact+systemic উভয় গুণসম্পন্ন । এটি গাছে স্প্রে করার পাশাপাশি মাটিতেও প্রয়োগ করা যায় । কুমড়ো জাতীয় ফসলের ডাউনি মিলডিউ জাতীয় রোগে খুব ভালো কাজ করে এটি । এছাড়াও কান্ড পঁচা , গোড়া পঁচা, লিফ স্পট, রাস্ট, ফল পঁচা, আর্লি ব্লাইট, লেট ব্লাইট ইত্যাদি রোগে প্রয়োগ করা যায় । এটি গোলাপের ডাই ব্যাক রোগ দমনে অধিক কার্যকরী ।‌

কিছু বিশেষ ধরনের ছত্রাকনাশক: 

১. স্ট্রেপটোমাইসিন সালফেট ৭২% –     

এটি একটি অর্ন্তবাহি প্রবাহমান ক্রিয়া সম্পন্ন ছত্রাকনাশক। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়াজনিত নেতিয়ে পরা , সবজির ঢলে পরা রোগ দমনে ব্যবহার করা হয় ।‌

এছাড়াও ক্যাঙ্কার জাতীয় পচন , দাগ রোগ দমন করে এটি ।

২. ডাইফেনোকোনাজল + প্রোপিকোনাজল-    

এটি একটি translaminar গুণসম্পন্ন systemic fungicide. Translaminar গুণ থাকায় এটি পাতার আগামরা রোগ , সবজির পচন রোধে বিশেষ ভাবে কার্যকরি । এছাড়াও বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক উভয় হিসেবে কাজ করে এটি ।

৩. টেবুকোনাজল+টাইফক্সিস্ট্রবিন –    

 এটি একটি systemic fungicide. এটি ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে কার্যকরী যা পরীক্ষিত ।‌ এছাড়াও সবজির লিফ স্পট, পাউডারি মিলডিউ, এনথ্রাকনোজ, আমের এনথ্রাকনোজ, গোলাপ এর ডাই ব্যাক রোগ দমনে কার্যকরী । 

৪. পাইরাক্লোস্ট্রোবিন+মেটিরাম –  

 এটি translaminar ধরনের contact+systemic উভয় ক্রিয়া সম্পন্ন । এটি রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। রোগের যে কোনো পর্যারে এটি কাজ করে । এটি বিশেষ করে লতা জাতীয় ফসলের যেমন – লাউ, কুমড়ো, তরমুজ,শশা,ক্ষীরা,করলা, চিচিঙ্গা,কাকড়োল এসব এর পাউডারি মিলডিউ রোগ দমনে অধিক কার্যকরী । এছাড়াও আমের এনথ্রাকনোজ, কলার সিগাটোকা রোগে কাজ করে এটি ।

ছত্রাকজনিত যেকোন সমস্যায় একই ছত্রাকনাশক কেনো ব্যবহার করা যাবে না: 

বর্তমানে ছত্রাক জনিত যেকোন সমস্যায় একই ধরণের ছত্রাকনাশক ব্যবহারের প্রচলন দেখা যাচ্ছে । এর মধ্যে ম্যানসার বা saaf বেশি ব্যবহার করা হয়। অনেকে বছরের পর বছর এগুলো ব্যবহার করে আসছে বুঝে বা না বুঝে। 

Saaf বা ম্যানসার contact+systemic fungicide এর মিশ্রণে তৈরি । আমরা জানি, contact fungicide গাছের বাইরে প্রতিরোধ আবরণ গড়ে তুলে । অর্থাৎ, রোগ হওয়ার আগে বা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন ক্ষেত্রে contact fungicide ব্যবহার করতে হবে । আর রোগ হয়ে গেলে বা উপসর্গ দেখা দিলে তখন systemic fungicide প্রয়োগ করতে হবে । 

তাই, গাছে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে systemic fungicide ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে গাছে এর মাত্রার আধিক্য ঘটবে এবং পরবর্তীতে রোগ হলে এটি ব্যবহার করলে তখন এটি কাজ নাও করতে পারে। 

আবার, দীর্ঘদিন একই ধরণের ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যাবে না । কারণ ছত্রাক একই ধরণের ছত্রাকনাশক এর বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে । ফলস্বরূপ কার্যকারিতাও ধীরে ধীরে হ্রাস পায় ।

কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর -(FAQ) :

১. বাংলাদেশে সাফ ছত্রাকনাশক (saaf powder) কোথায় পাওয়া যায়? 

উত্তর: saaf powder ভারতীয় কোম্পানি UPL এর একটি পণ্য । এই কোম্পানির পণ্য বাংলাদেশেও বাজারজাত করা হয়। ভারতে saaf powder নামে যেটা বাজারজাত করা হয় ঠিক একই পণ্য বাংলাদেশে ম্যানসার নামে বাজারজাত করা হয়, কোম্পানি একই UPL . অর্থাৎ, সাফ পাউডার আর ম্যানসার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। 

Leave a Reply